Best Laparoscopic Gynecological Surgeon in Kolkata

কলকাতার সেরা ল্যাপারোস্কোপিক গাইনোকলজিক্যাল সার্জন – ডা. শঙ্কর দাসমহাপাত্র

Admin

আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি একটি বিপ্লব এনেছে। বিশেষত নারীদের জটিল স্ত্রীরোগ সমস্যাগুলিতে এখন আর বড় কাটাছেঁড়া বা দীর্ঘ হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন নেই। বরং ক্ষুদ্র ছিদ্রের মাধ্যমে ক্যামেরা ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সার্জারি সম্পন্ন করা যায়। এর ফলে রোগীরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। কলকাতায় বহু গাইনোকলজিক্যাল সার্জন থাকলেও, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং সাফল্যের জন্য যিনি বিশেষভাবে পরিচিত তিনি হলেন ডা. শঙ্কর দাসমহাপাত্র, যিনি বহু রোগীর কাছে আজ নিঃসন্দেহে পরিচিত নাম এবং যোগ্যভাবে সম্মানিত best laparoscopic gynecological surgeon in Kolkata।

ল্যাপারোস্কোপিক গাইনোকলজিক্যাল সার্জারি কী?

ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি হলো একটি “মিনিমালি ইনভেসিভ” পদ্ধতি, যেখানে পেট বা পেলভিক অঞ্চলে ছোট ছোট ছিদ্র করে ক্যামেরা প্রবেশ করানো হয়। সার্জন মনিটরের মাধ্যমে ভেতরের অঙ্গগুলো স্পষ্টভাবে দেখতে পান এবং সূক্ষ্ম যন্ত্র ব্যবহার করে অপারেশন সম্পন্ন করেন।

নারীদের বিভিন্ন সমস্যায় এটি ব্যবহার করা হয়, যেমন:

জরায়ুর ফাইব্রয়েড (Fibroids)
ওভেরিয়ান সিস্ট (Ovarian Cyst)
এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis)
টিউবল ব্লক বা বন্ধ্যত্বজনিত জটিলতা
হিস্টেরেকটমি (জরায়ু অপসারণ)
ল্যাপারোস্কোপিক মায়োমেকটমি

ডা. শঙ্কর দাসমহাপাত্র – অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা

ডা. দাসমহাপাত্র কলকাতার একজন শীর্ষস্থানীয় গাইনোকলজিস্ট, যিনি বহু বছর ধরে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে সাফল্যের সাথে রোগীদের চিকিৎসা করে আসছেন।

তিনি জরায়ু, ডিম্বাশয় এবং অন্যান্য গাইনোকলজিক্যাল সমস্যার ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে বিশেষ পারদর্শী।
আধুনিক সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জটিল থেকে জটিল অপারেশনও নিরাপদে সম্পন্ন করেন।
রোগীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেন।
কলকাতার নামকরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলিতে তার নিয়মিত প্র্যাকটিস রয়েছে।

রোগীদের আস্থা, সাফল্যের হার এবং তার স্নেহশীল আচরণই তাকে আলাদা করে তুলেছে। তাই অনেকেই মনে করেন তিনি হলেন প্রকৃত অর্থে best laparoscopic gynecological surgeon in Kolkata।

কেন ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি নারীদের জন্য উপকারী?

ডা. শঙ্কর দাসমহাপাত্রের মতে, নারীদের জটিল সার্জারির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি রোগীদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ। কারণ –

কম ব্যথা – ছোট ছিদ্র হওয়ায় ব্যথা খুবই কম হয়।
দ্রুত আরোগ্য – মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই রোগীরা বাড়ি ফিরতে পারেন।
কম ঝুঁকি – ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেকটাই হ্রাস পায়।
সৌন্দর্য রক্ষা – বড় দাগ না থাকার কারণে রোগীর শরীরে দৃশ্যমান দাগ থাকে না।
দ্রুত দৈনন্দিন জীবনে ফেরা – মহিলারা তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারেন।

কোন কোন সমস্যায় ডা. দাসমহাপাত্র ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি করেন?

১. জরায়ুর ফাইব্রয়েড (Fibroids)

অনেক মহিলার জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হয়, যা অতিরিক্ত মাসিক রক্তপাত, পেট ব্যথা বা বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে। ল্যাপারোস্কোপিক মায়োমেকটমির মাধ্যমে এই সমস্যা সহজেই সমাধান হয়।

২. ওভেরিয়ান সিস্ট (Ovarian Cyst Surgery)

ডিম্বাশয়ে সিস্ট থাকলে তীব্র ব্যথা বা গর্ভধারণে অসুবিধা হতে পারে। ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারিতে খুবই সূক্ষ্মভাবে সিস্ট অপসারণ করা হয়, ডিম্বাশয়ের ক্ষতি না করে।

৩. এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis Surgery)

এটি একটি জটিল রোগ, যা ব্যথাযুক্ত মাসিক ও বন্ধ্যত্বের কারণ হয়। ডা. দাসমহাপাত্র দক্ষতার সাথে ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে এন্ডোমেট্রিওসিস সার্জারি সম্পন্ন করেন।

৪. ইনফার্টিলিটি সার্জারি (Infertility Treatment)

টিউবল ব্লক বা পেলভিক সংক্রান্ত সমস্যায় অনেক সময় সন্তানধারণে অসুবিধা হয়। ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে এই ব্লক দূর করে সফল গর্ভধারণ সম্ভব হয়।

৫. ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমি

যেসব রোগীর জরায়ু অপসারণ প্রয়োজন হয়, তাদের জন্য ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমি অত্যন্ত নিরাপদ এবং কার্যকরী একটি পদ্ধতি।

কেন ডা. শঙ্কর দাসমহাপাত্রকে বেছে নেবেন?

বহু বছরের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা
জটিল কেসেও সফলতা
রোগীর মানসিক স্বস্তি ও আস্থা প্রদান
আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার
রোগীর আর্থিক ও শারীরিক দিক বিবেচনা করে সেরা সমাধান

নারীদের জটিল গাইনোকলজিক্যাল সমস্যার সমাধানে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি আজ আশীর্বাদস্বরূপ। আর এই ক্ষেত্রে কলকাতায় সবচেয়ে বিশ্বস্ত নাম হলেন ডা. শঙ্কর দাসমহাপাত্র। তার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, স্নেহশীল ব্যবহার ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তিনি রোগীদের জীবনে নতুন আশা জাগিয়েছেন।

তাই যদি আপনি একজন অভিজ্ঞ ও বিশ্বাসযোগ্য best laparoscopic gynecological surgeon in Kolkata খুঁজে থাকেন, তবে ডা. শঙ্কর দাসমহাপাত্র হবেন আপনার সেরা পছন্দ।