৩৫ বছরের পর গর্ভাবস্থা : ঝুঁকি, চ্যালেঞ্জ এবং বিবেচনা
মহিলাদের ৩৫ বছর বয়সের পরে গর্ভাবস্থা বিভিন্ন ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই তারা ৩৫ বছরের পরে সুস্থভাবেই গর্ভধারণ করে এবং সুস্থ শিশুর জন্ম দেয়, তবে কিছু মহিলা এক্ষত্রে জটিলতা অনুভব করতে পারে। ৩৫ বছর বয়সের পরে গর্ভাবস্থার ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জগুলি বোঝা এবং মা ও শিশু উভয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য কলকাতার একজন উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
১ম ঝুঁকি : ডাউন সিনড্রোম
৩৫ বছর বয়েসের পরে গর্ভাবস্থার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলির মধ্যে একটি হল ডাউন সিনড্রোমের মতো ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতার সম্ভাবনা। ৩৫ বছর বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি ৪০০ জনের মধ্যে ১ জনের শিশুর ডাউন সিনড্রোম হওয়ার ঝুঁকি থাকে এবং ৪০ বছর বয়সে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১ জনের ডাউন সিনড্রোম হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, প্রিটার্ম লেবারের মতো অন্যান্য জটিলতা এবং গর্ভপাতের ঝুঁকিও থাকে।
২য় ঝুঁকি : গর্ভাবস্থায় অসুবিধা
৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার অসুবিধা এবং সিজারিয়ান ডেলিভারির প্রয়োজনের উচ্চ সম্ভাবনার মতো চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হতে পারে। মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের উর্বরতা হ্রাস পায় এবং স্বাভাবিকভাবেই গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন তবে একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
৩য় ঝুঁকি : প্রসব করতে অসুবিধা
প্রসবের ক্ষেত্রে, প্রসবের সময় সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের সিজারিয়ান সেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষত যদি গর্ভবতী মহিলার আগে থেকেই ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে।
বিবেচনা
আপনি যদি ৩৫ বছর বা তার পরে গর্ভবতী হন, তবে সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিবেচনার বিষয় রয়েছে। প্রতিটি প্রসবপূর্ব অ্যাপয়েন্টমেন্টে উপস্থিত থাকা এবং আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর নির্দেশিকা ও সুপারিশগুলি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতার ক্ষেত্রে স্ক্রীন করার জন্য আপনাকে জেনেটিক টেস্টিং করতে হতে পারে। এছাড়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম ডায়েট মেনে চলা, অ্যালকোহল ও তামাক এড়িয়ে চলা এবং সর্বপরি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
যদিও ৩৫ বছরের পরে গর্ভধারণ নানান ঝুঁকি, চ্যালেঞ্জ এবং বিবেচনা নিয়ে আসে। তবে সঠিক যত্ন এবং ব্যবস্থাপনার সাথে, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী অনেক মহিলাই সুস্থ শিশুর জন্ম দেয়। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন কোনো ঝুঁকির সম্মুখীন হন তবে সর্বোত্তম সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন, কলকাতার বিখ্যাত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শঙ্কর দাসমহাপাত্রের সাথে।